নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিশ্বনাথ উপজেলার মান্দারুকা গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী মতছির আলী চাঁদা না দেওয়ায় কতিপয় সন্ত্রাসী খুন করার উদ্দেশ্যে আক্রমন চালায়। অল্পের জন্য তিনি প্রাণে রক্ষা পান। গত ৭ আগষ্ট মান্দারুকা বাজার মসজিদ মার্কেটের একটি চা দোকান থেকে আউয়াল, ফখর উদ্দিন, গিয়াস উদ্দিন, সিরাজ আলীসহ কতিপয় সন্ত্রাসী তাকে ডেকে নিয়ে চার লক্ষা টাকা চাঁদা দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় মতছির আলীকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারপিঠ করে জখম করা হয় এবং তার সাথে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকা ও একটি স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে মতছির আলীর বোনের জামাই দুদু মিয়া ও বোন সহ অন্যরা ৯৯৯ নম্বারে ফোন দিয়ে সন্ত্রাসীদের নিকট থেকে গুরুত্বর জখমী মতছির আলীকে প্রথমে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এব্যাপারে ৯জনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
১৪ আগষ্ট শনিবার বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মতছির আলী এই অভিযোগ করেন।
মতছির আলী বলেন, বিশ্বনাথ প্রবাসীরা দেশে আসলেই পর আপন সহ কিছু খারাপ প্রকৃতির লোকরা প্রবাসীদের নানা ভাবে অত্যাচার নির্যাতন করে থাকেন। তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নান তিন বছর আগে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসার পর কাজল খানের স্ত্রী পারুল বেগম এবং পারুলের বোন খয়রুল বেগমের নিকট থেকে ৯ শতক জমি কিনে বাড়ীঘর নির্মাণ করেন। কিন্তু কাজল খান কতিপয় খারাপ লোক নিয়ে প্রায় সময় চাঁদা দাবী করে আসছেন। চাঁদা না দেয়ায় তারা আমিও আমার পরিবারের উপর চরম ভাবে ক্ষীপ্ত হয়। আমাকে প্রাণে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে আমাদের বাড়ীর জমি দখল ও খুন করার হুমকি দিলে গত ১০ আগষ্ট আমার ভগ্নিপতি বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। (ডায়রী নং-৪২৯)। এই খবর পেয়ে কাজল খানের স্ত্রী পারুল বেগম বাদী হয়ে আমি ও আমার দুই ছেলে মামুন মিয়া, মেহেদী হাসান, ভাগনা জয়নুল মিয়াকে আসামী করে সম্পূর্ণ সাজানো মিথ্যা হয়রানীমূলক একটি মামলা দায়ের করেন। এমতাবস্থায় আমার পরিবারে আতংক বিরাজ করছে। মতছির আলী তার উপর হামলাকারী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার, সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং জানমালের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি, সিলেটের পুলিশ সুপারের প্রতি দাবী জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক নেতা ময়না মিয়া, মান্দারুকা গ্রামের মুরব্বী আনছার আলী, দুদু মিয়া, হাজী আব্দুর রহমান, সাজ্জাদ মিয়া, শামসুল ইসলাম, জুবের আহমদ, মো. গয়াস মিয়া, বাবুল মিয়া প্রমূখ।