নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ উপজেলার গাগুটিয়া হযরত শাহ জালাল(রঃ)উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র সুমেল (২০)হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবীতে বিশ্বনাথ থানা ঘেরাও করে উত্তেজিত জনতা। থানার সামনে মাটিতে কাপন মোড়ানো সুমেলের লাশ রেখে মূহ শ্লোগান দেয় জনতা। আজ রবিবার সুমেলের লাশ ময়না তদন্ত শেষে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার পথে থানার সামনে আসামাত্রই শত শত লোক জমায়েত হয়ে থানার সামনে প্রতিবাদ জনায়।
লাশ নিয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পর সেখানে এক করুন দৃশ্যের অবতারনা হয়। লাশ বাড়ীতে আসার খবর শোনে আত্নীয়- স্বজন,পাড়াপ্রতিবেশি ও সুমেলের সহপাঠিদের কান্নায় সেখানকার আকাশ- বাতাস ভারী হয়ে উঠে। সুমেলের প্রাণহীন মুখ দেখে অনেকেই চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। আসরের নামাজ শেষে সুমেলের জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্হানে লাশ দাপন করা হয়।জানাজায় উপস্হিত সাংসদ মোকাব্বির খান গুলি করে স্কুল ছাত্র সুমেল হত্যা কান্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে বক্তব্য দেন।
এদিকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী খুনী সাইফুলের বাড়ী থেকে থানা পুলিশ সাইফুলের দুইটি পাসপোর্ট সহ কিছু মালামাল উদ্ধার করে নিয়ে আসে। সাইফুল বড় অংকের টাকার বিনিময়ে পাসপোর্ট নেয়ার চেষ্টা তদবির করে নিতে পারেনি। বড় অংকের অপার দিয়ে থানায় লোকও পাঠিয়ে ছিল। আরও চমকপদ খবর হচ্ছে, শনিবার রাতে খুনি সাইফুল থানায় আত্নসমর্পণ করতেও চেয়ে ছিল। আওয়ামীলীগের এক হাইব্রিড নেতা চেষ্টা তদবির করেন। শর্ত ছিল যে,থানায় সালেন্ডার করলে পুলিশ যেন রিমান্ডে না নেয়। কিন্তু সুবিধাজনক সম্মতি না পাওয়ায় সব আলোচনা ভেঙ্গে যায়। এমন প্রস্তাবের সাথে আওয়ামীলীগ এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এসব তথ্য জানান। সাইফুলের চোখে এখন শুধু অন্ধকার দেখছে। কৃযকের জমিতে জোরপূর্বক মাটি কাটায় আপত্তি করায় জমির মালিকের পুরো পরিবারকে হত্যার প্রচেষ্টা ঘটনায় সমগ্র উপজেলায় উত্তেজনাকর পরিস্হিতি বিরাজ করছে।
সাইফুলের পাসপোর্ট জব্দ করেছেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে বিশ্বনাথ থানার ওসি তদন্ত রমাপ্রসাদ চক্রবর্তী জানান,শনিবার রাতে সাইফুলের বাড়ী থেকে বেশ কিছু জিনিষ আনা হয়েছে।পাসপোর্ট থাকলে থাকতেও পারে। বাদী পক্ষের অভিযোগ হাতের কাছে পেয়েও পুলিশ সাইফুলকে গ্রেফতার করেনি। এখন খুনী সাইফুল গ্রেফতার না হলে পুরো ঘটনার দায় পুলিশকেই নিতে হবে।