নিজস্ব প্রতিবেদক : বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চাউলধনী হাওরের উত্তরপারে প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি গ্রামের নাম মৌলভীগাঁও। গ্রামের লোকজন যুগ যুগ ধরে শান্ত পরিবেশে সহাবস্থানে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু গত ৩মাস ধরে প্রতিবেশি দুই পক্ষের মধ্যে একটি গেইট ভাঙ্গা ও রাস্তার জমি দখলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষ একে অপরকে গায়েল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যে কোন সময় খুন খারাবির মত ঘটনা ঘটার আশংকা রয়েছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য প্রবাসি লেবু মিয়া ও তাঁর ভাইদের নিজস্ব ভ‚মির উপর বাড়ির সামনে রাস্তার উপর নির্মিত গেইটটি প্রতিবেশি প্রতিপক্ষ সিলেট শহর থেকে একটি অস্ত্রবাজ সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে প্রথমে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে আতংক সৃষ্টি করে। গেইটে নির্মিত সিসি ক্যামেরা ভাংচুর করে বড় বড় কয়েকটি ডিল মেশিন ও গ্রান্ডার মেশিন দিয়ে প্রায় ১৪লাখ টাকার ব্যয়ে নির্মিত গেইটির নিচের বেশ কিছু অংশ ভেঙ্গে দেয়। ঘটনাটি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ব পরিকল্পনা করে সবদিক ম্যানেজ করে ঘটানো হয়। ঘটনার পূর্বে গেইট ভাঙ্গার আশংকা করে থানায় সাধারণ ডায়েরী করলে প্রতিপক্ষের লোকজনের নামে ঘটনা সত্য বলে এডিএম আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। ঘটনার কয়েক ঘন্টা আগে গেইট ভাঙ্গা হচ্ছে মর্মে থানা পুলিশকে অবহিত করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌছলেও অস্ত্রধারিদেরকে গ্রেফতার করা হয়নি। তারা বন্দুক হাতে নিয়ে লেবু মিয়ার পক্ষের ৪জনকে হত্যার জন্য চর্তৃরদিকে খোজা খঁজি করছিল। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। লেবু মিয়ার চাচাত ভাই বন্দুকের গুলি অস্ত্রধারি ও গেইট ভাঙ্গার ভিডিও সহ যাবতীয় তথ্য প্রমানাদি দিয়ে সিলেটের দ্রæত বিচার আদালতে দ্রæত বিচার আইনে মামলা দায়ের করলে তদন্ত শেষে থানা পুলিশ আদালতে পাইনাল রিপোর্ট দাখিল করে। এই মামলা দায়েরের পর আসামিপক্ষেও একই ধারায় একই আদালতে দ্রুত বিচার আইনে আরেকটি মামলা করে। সেটিও ফাইনাল রিপোর্ট দেয়া হয়। মুলত প্রথম মামলাটিকে ঘায়েল করতে কাউন্টার মামলাটি করা হয়েছিল।
এ দুটি মামলা ফাইনাল হওয়ার পর সপ্তাহ খানেক গ্রামে নিরিবিলি পরিবেশ বিরাজ করলেও পরবর্তি সময়ে প্রতিরাতে সুযোগে গেইটটি একটু একটু করে ভেঙ্গে দেয়ার চেষ্টা করছে। প্রতিক্ষের লোকজনকে কোন ধরনের মারামারি করতে নিষেধ করেছেন লেবু মিয়া। এই দূর্বলতার সুযোগে প্রতিপক্ষ গেইট ভেঙ্গে মাটিতে ফেলে দেয়ার চেষ্টা করছে। এনিয়ে সংঘর্ষে খুন খারাবাবির মত ঘটনা ঘটলে দায়ি হবে কে?।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিপক্ষ পূণরায় গেইট ভাঙ্গা শুরু করলে বাদি পক্ষ শব্দ শুনে থানায় ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি বলে জানান থানার ওসি রমাপ্রসাদ চক্রবর্তি।