আসসালামু আলাইকুম, প্রিয় এলাকাবাসী,
বৃহত্তর উত্তর বিশ্বনাথে দ্বীনি শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে বিশ্বনাথের খাজাঞ্চী ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয় এলাহাবাদ ইসলামিয়া আলিম মাদরাসা। আমি যখন ১৯৯৫ সালে মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন এটি ছিল দাখিল (এসএসসি) স্থরের মাদরাসা। পরবর্তীতে সবার সহযোগিতায় ২০০৪ সালে মাদাসাটি আলিম (এইচএসসি) স্থরে উন্নিত করতে সক্ষম হই। ২০০৪ সালে আলিম অনুমোদন পাওয়ায় অনেক মাদরাসা ইতিমধ্যে ফাজিল-কামিল অনুমোদন পেয়ে গেলেও এই মাদরাসায় তা আর সম্ভব হয়নি অবকাঠামোগত দুর্বলতা এবং পর্যাপ্ত জায়গার অভাবে। দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনের পর এখন আমি প্রায় অবসর গ্রহণের দ্বারপ্রান্তে। এমতাবস্থায় মাদরাসার নতুন ভবন নির্মাণ বিষয়ক জটিলতা এবং আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে আমি যারপরনাই মর্মাহত। বেশ কিছুদিন ধরেই অনেক সাংবাদিক ভাই, আমার সাবেক ছাত্র-ছাত্রী এবং মাদরাসার শুভানুধ্যায়ীগণ বিভিন্নভাবে আমার কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। সবার কাছে বিষয়গুলো পরিষ্কার করার লক্ষ্যেই আমার এই খোলা চিঠি।
গত বছর মাদরাসায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভবন নির্মাণ বাবদ ৭৩ লক্ষ টাকা অনুমোদন হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে আমি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি, মরহুম ওলীউর রহমান সাহেবের সদ্য প্রয়াত স্ত্রী রাবেয়া আক্তারের স্মরণাপন্ন হই এবং উপযুক্ত জায়গায় মাদরাসার ভবন নির্মাণের কথা বলি৷ তিনি বর্তমান ক্যাম্পাসেই ভবন ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণে মত ব্যক্ত করেন। আমি তাকে স্মরণ করিয়ে দেই যে মাদ্রাসাটি এখন যে জমির উপর আছে তার কোন দলীল নেই, কেবল ১১ শতক জমির খতিয়ান আছে। আলিম মাদ্রাসার ক্যাম্পাস কমপক্ষে ৮০ শতক ভূমির উপর নির্মাণ করতে হয়। বর্তমান ক্যাম্পাসের পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বাড়ি, পশ্চিম দিকে কবরস্তান এবং উত্তর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় এখানে ক্যাম্পাস বর্ধিত করা সম্ভব নয়। মাদরাসা প্রতিষ্ঠায় মরহুম মাওলানা ওলীউর রহমান সাহেবের অগ্রণী ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে মাদরাসাটি উপযুক্ত জায়গায় স্থানান্তরে তার সহযোগিতা কামনা করি। তখন তিনি আমাকে দায়িত্ব প্রদান করেন উপযুক্ত ভূমি এবং দাতা খোজে বের করার জন্য। তার অনুমোদনক্রমে আমি এলাকার সবার কাছে নতুন জায়গার জন্য সহযোগিতা চেয়ে চিঠি পাঠাই এবং উল্লেখযোগ্য সাড়া পাই। কিন্তু আমি মর্মাহত হই যখন জানতে পারি মাওলানা ওলীউর রহমান সাহেবের ছেলে মাওলানা নূরুর রহমান এবং মাওলানা মুখলিসুর রহমান এলাকার মানুষকে তাদের বাড়িতে জড়ো করে এটা প্রচার করেন যে আমি মাদরাসা আমার বাড়ির পাশে স্থানান্তর করতে যাচ্ছি। এসময় আমাকে নিয়ে কুৎসা রটনা এবং অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও আমাকে মর্মাহত করে। জীবনের সবটুকু শ্রম এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে ঢেলে দেওয়ার পর এরকম অপবাদ শুনার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না। যাই হোক, তাদের কথায় স্বভাবতই এলাকাবাসী বিভ্রান্ত হন এবং পরদিন মাদরাসার অফিসে এসে আমার কাছে এর ব্যাখ্যা শুনতে চান। আমি তাদের বলি আমি নিজের জন্য কিছু চাচ্ছিনা বরং মাদরাসাটি যেন একটি সু-পরিসর জায়গায় স্থানান্তর করা যায় সেজন্যই সবার সহযোগিতা চাচ্ছি।
এর কিছুদিন পর এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আবার মাদরাসা অফিসে আসেন এবং প্রস্তাব দেন তেলিকোনা গ্রামের উত্তরে বাদশা মিয়া সাহেবের বাড়ির পূর্বে ৮০শতক ভূমি দান করতে মরহুম ওলীউর রহমান সাহেবেরর পরিবার প্রস্তুত আছেন, আমি রাজি আছি কিনা? আমি অত্যন্ত আনন্দিত হই এবং সবাইকে নিয়ে দোয়াও হয় যাতে ওই জায়গাতেই সুষ্ঠুভাবে মাদরাসাটি স্থানান্তর করা যায়। এর কিছুদিন পরে প্রতিষ্ঠাতার পরিবার থেকে জানানো হয় তারা যে ৮০ শতক জমি দানের কথা বলেছিলেন সেটা তারা দিতে পারবেন না। তারা মাওলানা আব্দুল মুমিন সাহেবের বাড়ি সংলগ্ন ৩৪ শতক জমি দিতে রাজি আছেন এবং সেখানেই যেন নতুন ভবন নির্মাণ হয়। এখানে মাদরাসা স্থানান্তরে রাজি না হওয়ার প্রধান কারণ হলো ৮০ শতক জমিতে মাদরাসা নির্মাণের আইনী বাধ্যবাধকতা রয়েছে, উপরন্তু এটাও এমন একটা জায়গা যার চারপাশে বাড়ি-ঘর, কবরস্তান এবং নদীর কারণে পরবর্তীতে প্রয়োজন অনুসারে মাদরাসা বর্ধিত করা সম্ভব হবেনা। অন্যদিকে সরকারি বিধি অনুযায়ী মাদ্রাসার ক্যাম্পাস নদীর তীর থেকে অন্তত ৮০ ফুট দূরে হওয়ার কথা। অথচ যেখানে ভূমি দেওয়া হয়েছে তা একদম নদী তীরবর্তী। সুতরাং এখানে ক্যাম্পাস স্থানান্তর হলে মাদরাসা দীর্ঘমেয়াদী জটিলতায় পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
কোরআনের এই বাগানকে নিয়ে বড় স্বপ্ন দেখাই ছিলো আমার অপরাধ। এই বিরুধিতার কারণেই আমার বিপক্ষে হঠাৎ করেই দুর্নীতি দমন কমিশন সহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়ে নানাভাবে হয়রানি করা শুরু হয়। তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেই তদন্তে আসেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। তিনি আমার অফিস থেকে বের হওয়ার স্বল্প সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায় আমার বিপক্ষে তদন্ত হওয়ার খবর। মুহূর্তের মধ্যে অনলাইন নিউজে এই খবর ছড়িয়ে দেওয়া হয় যদিও আমার ভাইরা চাইলেই পারতেন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে। আমার বিপক্ষে তদন্ত হয়েছে এই ব্যপারটাকেই অতিরঞ্জিত করে ছড়িয়ে এলাকার সহজ সরল মানুষকে আমার বিপক্ষে ক্ষেপিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়। যা থেকে বুঝা যায় এই অভিযোগ দেওয়া, তদন্ত হওয়া এবং খবর ছড়িয়ে দেওয়া এসবই একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ। উল্লেখ্য এই তদন্তের রিপোর্ট এখনো প্রকাশ না হলেও গুজব ছড়ানো হচ্ছে আমি এতে দূষী সাব্যস্ত হয়েছি।
এই সময়েই এলাকার অনেকে বেশ কয়েকবার আমার অফিসে এসে সমাধানের চেষ্টা করেন। এক সময় মাওলানা মুখলিসুর রহমান ৮০শতক জায়গায় মাদ্রাসা স্থানান্তরের যে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো সে সিদ্ধান্তের রেজ্যুলেশন কেটে ফেলেন। ৩৪ শতক ভূমিতে মাদরাসা স্থানান্তরের জন্য আমাকে হুমকি দেওয়া হয়, বল প্রয়োগ করা হয় এবং এক পর্যায়ে ঐ জমিতেই বলপ্রয়োগ করে মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান করা হয়। আমি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
এলাকার কিছু মানুষ রেজ্যুলেশন ছেড়া এবং অনুপযুক্ত জায়গায় মাদরাসা স্থানান্তরে আমাকে বল প্রয়োগের ব্যাপারটি মেনে নিতে না পেরে ৮০শতক ভূমিতে মাদরাসা স্থাপনে সরকারি হস্তক্ষেপ কামনা করে উর্ধতন বিভিন্ন অফিসে চিঠি পাঠান। এই চিঠির দায়ভার আমার উপরে চাপানো হচ্ছে৷ এ বিষয়ে আমার বক্তব্য হলো এরকম চিঠি এলাকার যে কেউ পাঠাতে পারেন। এটা আমি পাঠানোর প্রয়োজন নাই৷ তবে হ্যা, মাদরাসা ৮০ শতক জায়গায় যাক সেটা আমি এখনো চাই। এতে আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ নাই। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নিজের নাম লাগানোর কোন লোভও নাই, এই মাদরাসাকে নিজের বংশধরদের জন্য অসৎ উপার্জনের মাধ্যম বানানোর কোন ইচ্ছা ও নাই। আমার বিপক্ষে যত মিথ্যা কুৎসা রটানো হয়েছে কোন কিছুকেই আমি গুরুত্ব দিচ্ছিনা। আমাকে কেউ অসম্মান করেও যদি মাদরাসায় ৮০শতক জায়গা দান করে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি চাই এলাকার শিক্ষার পরিবেশ সুন্দর হোক, ভবিষ্যতে মাদরাসা টা ফাযিল-কামিল হওয়ার সুযোগ থাকুক। অনেকে আমার কাছে বিষয়টি বসে সমাধানের কথা বলেছেন। তাদের প্রতি আমার বক্তব্য হলো মাদরাসার স্বার্থে আমি যে কারো সাথেই বসতে প্রস্তুত আছি কিন্তু সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কোন সিদ্ধান্তে একমত হতে আমি অপারগ। একটা কথা উল্লেখ না করলেই নয়, একটি সরকারি মাদরাসার ভবন ব্যবহার করতে মাদরাসা পরিচালনা কমিটির অনুমোদন এর প্রয়োজন হয়৷ কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই আমার, কিংবা পরিচালনা কমিটির নিয়মতান্ত্রিক কোন অনুমোদন ছাড়াই রামাদ্বান মাসে ইত্তিহাদুল কুররা বাংলাদেশের কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলে যেখানে ছাত্র শিবিরের অনেক সাবেক-বর্তমান পদধারী এমনকি মামলার আসামীদেরও দেখা যায়। মাদরাসার অধ্যক্ষ হিসেবে স্বভাবতই এরকম একটি কার্যক্রমের দায়ভার আমার উপরে পড়বে। অথচ আমি এখানে কিছু বলতে গিয়েও আটকে যাচ্ছি কারণ এটি বন্ধ করলে “প্রিন্সিপাল কোরআন শিক্ষা বন্ধ করতে চান” বলে গুজব ছড়ানো হতে পারে। আমি আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে এই অঞ্চলে রামাদ্বান মাসে ফুলতলী সাহেব কিবলাহ (রহ) এর কিরাতের খিদমাত দারুল ক্বিরাতের ৬/৭টি শাখা রয়েছে। এছাড়াও আছে ক্বওমী উলামায়ে কিরামের খিদমাত। এগুলো অনেক দিন ধরেই চলে আসছে৷ এগুলোকে পাশ কাটিয়ে মাদরাসায় জামায়াত নিয়ন্ত্রিত ইত্তিহাদুল কুররার ক্বিরাত প্রশিক্ষণ জামায়াতে ইসলামীর ভাবাদর্শ প্রচারের কৌশল কিনা এ বিষয়টিও এলাকাবাসীকে ভেবে দেখার আহবান রইলো। মাদ্রাসার এই ক্রান্তিলগ্নেও আমার শিক্ষকবৃন্দ ঠিক মত পাঠদান করে যাচ্ছেন। তবুও শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনা মাসিক বেতনের অনুমোদন নিতে প্রতি মাসেই মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতির কাছে বারবার ধর্না দিতে হচ্ছে যা আমার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষকের শ্রমকে ছোট করার নামান্তর। যেসব মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গুজব ছড়ানো হচ্ছে তার মাঝে অন্যতম হলো আমি শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত করে আমার পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছি। আমি শিক্ষার্থীদের কোনভাবেই প্ররোচিত করিনি বরং যারা আমার কাছে এসেছিলো তাদেরকে শান্ত থাকার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা মাদরাসা ক্যাম্পাসে শিক্ষকদের সাথে হওয়া দুর্ব্যবহার এবং চলমান নোংরামিতে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ ছিলো যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের বিক্ষোভ এর মাধ্যমে। তারা যখন বিক্ষোভ করে এসময় আমি মাদরাসায় যাচ্ছিলাম এবং তারা আমাকে সালাম দিলে আমি হাত তুলি। এই ভিডিওকে ছড়ানো হচ্ছে আমি তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছি বলে। অথচ এই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আমিই ধমক দিয়ে মাদরাসায় ক্লাস পূর্ব শারীরিক প্রশিক্ষণে দাড় করাই। মরহুম মাওলানা ওলীউর রহমান সাহেবের বাড়িতে ভাংচুরের যে অভিযোগ করা হচ্ছে এটিও একটি মিথ্যাচার। উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা এর সত্যতা পাননি। যে ছবিতে তাদের বাড়ির উঠানে ইট পাটকেল ছড়ানো দেখানো হচ্ছে এই ছবিরই বাম পাশে খেয়াল করলেই দেখা যাবে ভাঙ্গা লাল রঙের ইটের স্তুপ। যা থেকে বুঝা যায় এগুলা আগেই কেউ ভেঙ্গে রেখে উঠানে ছড়িয়ে দিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ছবি তুলে ছাত্রদের বিপক্ষে অভিযোগ করছে। এছাড়াও আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হয়েছে, এমনকি বিভিন্ন অফিসে অভিযোগ ও করা হয়েছে। যেহেতু এটি নিয়ে উর্ধতন অফিসে অভিযোগ করা হয়েছে সুতরাং আর্থিক লেনদেন সম্পর্কিত অভিযোগ গুলার উত্তর ও আমি তদন্তকারীদেরকে দিবো অথবা দিয়েছি। সংবাদ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে যে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অথচ বাস্তবতা হলো তদন্ত কর্মকর্তা এখনো কোন প্রতিবেদন দেননি। মাদরাসা’র নাম ব্যবহার করে অর্থ আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, পরিচালনা কমিটিতে নিজের পছন্দের লোকদের পদায়ন ইত্যাদি অভিযোগ আমিও একটি বিশেষ পরিবারের দিকে তুলতে পারি। কিন্তু এসবে আমার কোন আগ্রহ নাই। আমি শুধু অবসরগ্রহণের আগে একটি সুন্দর সুপরিসর জায়গায় মাদরাসাটি রেখে যেতে চাই। প্রিয় এলাকাবাসী, অত্যন্ত কষ্টের বিষয় যে আমাকে এরকম একটা চিঠি লেখার মতো অবস্থায় পড়তে হলো৷ আমি সারাজীবন ব্যয় করেছি এই মাদরাসার খিদমাত করে৷ আপনাদের মাদরাসার দেখভালো করার দায়িত্ব আপনাদের সবার। আমি কোন ভুল করলে সেটা ধরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের আবার আমি যেন মাদরাসা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে পরিচালনা করতে পারি এ ব্যাপারে সাহায্য করার দায়িত্বও আপনাদের। আমার বিপক্ষে যে পরিমাণ গুজব ছড়ানো হয়েছে, ফেইসবুকে ফেইক আইডি দিয়ে নোংরা ভাষায় গালাগালি করা হয়েছে, যে পরিমাণ হুমকি আমাকে দেওয়া হয়েছে তা রীতিমতো ভয়ংকর। এমনকি আমার পরিবারের সদস্য, আমার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েকেও এসব হুমকি শুনতে হচ্ছে। আমি চাইলেই আইসিটি আইন সহ বিভিন্ন আইন অনুযায়ী এসব বিষয়ে আদলতের স্মরণাপন্ন হতে পারতাম। এসবের বিচার আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছেই দিচ্ছি। আল্লাহ সবাইকে হিদায়াত প্রদান করুন। আমাদের সবাইকে নিজ নিজ স্বার্থের উর্ধে উঠে মাদরাসার উন্নয়নের জন্য খালিসভাবে কাজ করার তওফিক দিন। আমিন।