স্টাপরিপোটার :জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টাল বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমের সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক কলামিস্ট এএইচএম ফিরোজ আলী বলেছেন, মানুষ দিন দিন বিবেকহীন হয়ে যাচ্ছে।অতি লোভের কারণে সমাজের অধঃপতনের সৃষ্টি হয়েছে।নৈতিক মূল্যবোধের অভাবে সুপরিকল্পিতভাবে সম্ভাবনাময় স্কুলছাত্র সুমেলকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিটি অন্যায় কাজে সমাজ সচেতন মানুষকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। নতুবা অন্যায় আমাদের সমাজকে গ্রাস করে ফেলবে।
গত ১৪মে শুক্রবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল তিনটায় তিনি চৈতন নগর গ্রামে স্কুলছাত্র সুমেলের বাড়িতে যান। সুমেলের পরিবার ও এলাকাবাসীর সাথে এক আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।ডাক সম্পাদক সুমেলের বাড়িতে এসেছেন এমন খবরে শতাধিক লোক মুহূর্তের মধ্যে তাদের বাড়িতে জড়ো হয়ে যান। এলাকাবাসী অনলাইন পোর্টাল বিশ্বনাথেরডাক২৪ডক কম এর সাহসী ভূমিকা ও কৃষকের পাশে থাকায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সুমেল হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে এলাকাবাসী জানান, সুমেলের চাচা খলিলুর রহমান যুক্তরাজ্য প্রবাসী এবং সেখানে তিনি চাউল ধনী হাওয়র রক্ষা কমিটির আহবায়ক অপর চাচা নজির মিয়া দেশে আছেন এবং তিনিও চাউলধনি হাওর রক্ষা ও কৃষক বাঁচাও আন্দোলন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক। এই পরিবার এলাকার অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ায় তাদেরকে দমন করতে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। এমন পরিকল্পনা মতে,বন্দুক , পিস্তল সংগ্রহ করে কতিপয় অস্রবাজদের দায়িত্ব বন্টন এবং পুলিশের সাথে পরামর্শ করে রাস্তায় মাটিকাটার কাজ শুরু করা হয়। ঘটনার দিন পরিকল্পিত এ হত্যা কান্ডের বলি হয় স্কুল ছাত্র সুমেল। ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বারবার এলাকায় গিয়ে এলাকাবাসীকে শান্তনা দিলেও এখনো মানুষের চোখে যেন এক অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এইদিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন সুমেলের পিতা মানিক মিয়াকে বাড়িতে আনা হয়েছে । তিনি কারো সাথে কথা বলেন না। শুধু মানুষের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকেন, কোনো কথাবার্তা বলতে পারেন না । ডাক সম্পাদক পরিবারের সকলের সাথে কথা বলেন এবং শান্তনা দেন। এলাকাবাসীকেও শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।তিনি সত্যও ন্যায়ের পথে থাকতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এসময় উপস্থিত এলাকাবাসীর মাধ্যমে সংক্ষিপ্তভাবে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন সুমেলের চাচা নজির মিয়া, মাস্টার বাবুল মিয়া,, মাহফুজুর রহমান, আহমদ আলী,, ইব্রাহিম সিজিল, আফজাল হোসেন, লাল মিয়া, রফিক মিয়া,আব্দুস শহীদ,খলিল মিয়া,লয়লুছ মিয়া আফজল হোসেন গৌছ আলী,শফিক মিয়া,প্রমুখ।