নিজস্ব প্রতিবেদক : কথায় আছে, লোভে পাপ পাপে মৃত্যু। নিজের স্বার্থে অন্ধ হয়ে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এলাহাবাদ (তেলিকোনা) ইসলামিয়া আলিম মাদরাসার অর্থলোভী তিন শিক্ষক অধ্যক্ষকে জোর পূর্বক এডহক কমিটির মাধ্যমে 6মাসের ছুটিতে পাঠিয়ে বিধিবর্হিভুতভাবে এডহক কমিটি গঠন ও উচ্চতর স্কেল গ্রহণ করায় তাদের বিরুদ্ধে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর কারন দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
ঢাকা মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (অর্থ) লুৎফুর রহমান গত ৮ফেব্রুয়ারী এ নোটিশ জারি করেন। মাদরাসায় কর্মরত আরবি প্রভাষক মো: হরমুজ আলী, ইংরেজি প্রভাষক মো: ফরিদুল ইসলাম ও সহকারি মৌলভী মো: ফারুক আহমদ বিধিবর্হিভুতভাবে উচ্চতর স্কেল গ্রহণ ও এডহক কমিটি গঠন করায় কেন এমপিও বেতন ভাতা সরকারি অংশ স্থগিত বা স্থায়ীভাবে বন্ধের ব্যবস্থার জন্য উর্ধতন কতৃপক্ষের নিকট সুপারিশ করা হবেনা মর্মে নোটিশ জারি করে ৭দিনের মধ্যে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন।
এলাহাবাদ মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন কর্মরত থাকাবস্থায় উক্ত শিক্ষকরা বহিরাগত লোক নিয়ে বেআইনি ভাবে জোর পূর্বক এডহক কমিটি করে অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্চনা, অপমান ও সরকারি কাজে দায়িত্ব পালনে বাঁধা প্রদান করেন। এনিয়ে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকাসহ গণমাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। এক পর্যায়ে পুলিশের উপস্থিতিতেও এ শিক্ষকরা ও তাদের বাহিনী অধ্যক্ষকে লাঞ্চনা করেছিল। যার ভিডিও চিত্র ভাইরাল হয়ে যায়। এলাকাবাসির পক্ষে অনেক আবেদন নিবেদন করলেও এসব অপকর্মের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে মাদরাসা অধিদপ্তরের টনক নড়েছে। কতিপয় শিক্ষকরা জামাত শিবির রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে মাদরাসায় একের পর এক অপকর্ম করে আসছে।