ডাক ডেস্ক : ইসরাইল-হামাসের সংঘাতে করণীয় নিয়ে ‘বিশেষ জরুরি সভা’ ডেকেছে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। বর্তমানে ওআইসির সভাপতির দায়িত্বে থাকা সৌদি আরবের আমন্ত্রণে ওই সম্মেলনে যোগ দেবে বাংলাদেশ।
রোববার (১৫ অক্টোবর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এসওয়াই রামাদানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ওআইসি মিটিংয়ে যাচ্ছি। সেটাতে আমরা যোগ দেব বলে উনি (রাষ্ট্রদূত) আসছেন আলোচনা করতে। ওআইসির মিটিংয়ে সৌদি প্রিন্স আমাদের দাওয়াত দিয়েছেন ওআইসির পক্ষ থেকে। আমরা সেখানে যাব ১৮ অক্টোবর।
ইসরাইল-ফিলিস্তিনের সমাধান প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি, দুটি আলাদা রাষ্ট্রই এটার সমাধান। যেটা জাতিসংঘ রেজ্যুলেশন ২৪২ এবং ৩৩৮ এর মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান সম্ভব। আমরা চাই না, আরও আরও রিফিউজি বাড়ুক। যদি তারা অন্য কোনো জায়গায় গিয়ে রিফিউজি হয়, এটা দুনিয়ার জন্য খুব দুঃখজনক হবে। আমরা সব দলকে বলি, পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ আগের অবস্থান রয়েছে জানিয়ে মোমেন বলেন, আমাদের যে অবস্থান, সেটাতেই আছি। আমরা চাই, নির্যাতন বন্ধ হোক। পানি, ওষুধ, খাবার বন্ধ করা গ্রহণযোগ্য নয়, এগুলো মানবিকতা লঙ্ঘন।
এদিকে, গাজায় নারী ও শিশুসহ ক্রমবর্ধমান বেসামরিক হতাহতের পাশাপাশি, ইসরাইলের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকের পরই এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ক্রমবর্ধমান মানবিক বিপর্যয় এড়ানোর লক্ষ্যে, অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সহায়তা প্রদান এবং এই অঞ্চলে ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের জন্যে উদ্যোগ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া, এই অঞ্চলে স্থায়ী সমাধান ও শান্তির জন্য ইউএনএসসি রেজুলেশনের ভিত্তিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের বিষয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।