স্টাফ রির্পোটার: পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, চাউলধনী হাওরে সেচে পানি রক্ষায় আপত্তি করার কারনে কৃষক দয়াল হত্যাকান্ডের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এ ধরণের ঘটনার যাতে আর না ঘটে তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। মন্ত্রী বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, তবে একজন বয়োবৃদ্ধ কৃষককে এভাবে হত্যা করা কাম্য নয়। তিনি চাউলধনী হাওর রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। মন্ত্রীকে পুরো বিষয়টি অবহিত করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমান।
৩০ জানুয়ারী শনিবার বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের নেতৃত্বে চাউলধনী হাওরের কৃষক বাচাঁও আন্দোলনের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সুনামগঞ্জস্থ বাসায় সাক্ষাৎ করেন। মন্ত্রী চাউলধনী হাওরের মূল সমস্যা কি? তা প্রনিনিধি দলের কাছে জানতে চান। তখন মন্ত্রীকে জানানো হয়, দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান চাউলধনী হাওরে প্রায় ৭/৮হাজার একর ইরি, বোরো জমি রয়েছে। এরমধ্যে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত প্রায় ১৭৮একর জলাশয় রয়েছে। এই জলাশয়ে সীমানা কোন চিহ্নিত করা হয়নি। ফলে ইজারাধার কৃষকের মালিকানাধীন খাল, বিল, পুকুর দখল করে পানি সেচের মাধ্যমে মাছ ধরতে থাকে। এতে ইজারাধার ও কৃষকদের মধ্যে দন্ড বেধে যায়। চলতি বছর দশঘর সমবায় সমিতির নামে ভূয়া একটি সমিতি সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জলাশয় লীজ নিয়ে লীজের সকল শর্ত ভঙ্গ করে সাবলীজ দিয়ে একটি বাহিনী গঠন করে সেচের মাধ্যমে হাওরের পানি প্রত্যাহার করায় চলতি বছর শতকোটি টাকার ধান উৎপাদন না হওয়ার আশংকা রয়েছে। কৃষকের জমি, পুকুর দখলের চেষ্টা করলে তাতে কৃষকরা বাধা দিলে কৃষকদের চাঁদাবাজিসহ সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার লীজগ্রহীতা সাইফুল বাহিনী কৃষক দয়ালের পানি সেচ দিয়ে অন্যত্র ফেলায় তিনি বাধা দেন। এতে তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। মন্ত্রী পুরো ঘটনা শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সিলেটের জেলা প্রশাসক ও ডিআইজি সাথে সরাসরি টেলিফোনে আলাপ করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ দেন। মন্ত্রী নিকট চাউলধনী হাওরের কৃষক ও কৃষি রক্ষায় একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য এএইচএম ফিরোজ আলী, হাওর রক্ষা আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম, যুগ্ম আহবায়ক মাস্টার বাবুল মিয়া, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব, বীর মুক্তিযোদ্ধা তবারক আলী, আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া মেম্বার, সাবেক মেম্বার সামছুদ্দিন, নজির আহমদ প্রমুখ।