ডাক ডেক্স : বাংলাদেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কার্যক্রম বিশ্বে নন্দিত ও প্রশংসিত হলেও এ কাজের তৃর্ণমুলের কর্মচারিরা চরমভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের নিয়োগবিধি যেমন হয়নি তেমনি পদোন্নতি বা গ্রেড পরিবর্তন হচ্ছেনা। সারা জীবন একই পদে চাকুরি করে তারা বিদায় নিছ্চেন। অথচ একই মন্ত্রনালয়ের অধিনে স্বাস্থ্য বিভাগের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদোন্নতি বেতন গ্রেড পরিবর্তন হয়েছে। প্রান্তিক জনগোষ্টির স্বাস্থ্যসেবক ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের মুল কারিগর পরিবার কল্যাণ সহকারিদের পদোন্নতি না দিয়ে অতি গোপনে ও কৌশলে ১৭তম গ্রেড দেখিয়ে পরিপত্র জারি করায় সারা দেশে কর্মচারিদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। তারা অবিলম্বে এ পরিপত্র বাতিল করে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক (FPI) দের ১১তম গ্রেড এবং পরিবার কল্যাণ সহকারিদের ১২তম গ্রেড প্রদানের দাবি জানান। বক্তারা অভিডোগ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিযোগবিধি বাস্তবায়নে নির্দেশনা প্রদান করলেও আলাতান্তিক জটিলতার কারনে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। তারা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি কামনা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতে চান তারা। সভায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত কর্মচারি যোগদান করেন এবং বিভিন্ন দাবি সম্বলিত ব্যানার ফেষ্টুনে হল রোম পরিপূর্ণ ছিণ।
(৮নভেম্বর) শুক্রবার সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারিগণ ঢাকা মোহাম্মদপুর একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে সমবেত হয়ে তাদের এসব দাবি বাস্তবায়নের আহবান জানান।
এ এইচ এম ফিরোজ আলীর সভাপতিত্বে পরিবার পরিকল্পনা মাঠ কর্মচারি সমিতির এক বিশাল কর্মী সভায় আয়োজিত এ সমাবেশে কর্মচারিরা বলেন ১৯৭৫ সনে বাংলাদেশের প্রতিষ্টাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক ভাষনে স্বাধীন বাংলাদেশ রক্ষার জন্য জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন কার্যত্রমের নির্দেশ দিয়েিেছলেন। তার এ নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তানরা এ বিভাগের চাকুরি গ্রহন করেন। ১৯৭৫ সালে এ দেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের হার ছিল ৬.৩৪, বর্তমানে এ হার কমিয়ে হয়েছে ১.৩৪। মোট প্রজনন হার ২০২০ সালে ২ জন লক্ষমাত্রা নির্ধারন থাকলে বর্তমানে আছে ২.৩ জন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের সাফল্যজনক কার্য ক্রমের কারনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। তারা পেনশনের সময় ২০% টাকা কর্তন বাতিল সহ বেতন বৈষম্য দুর ও পেইড ভলন্ট্রিয়ার বাতিলের দাবি জানান।
সভায় বক্তব্য স্বাগত বক্তব্য রাখেন, নাজনিন আক্তার, হাবিবুর রহমান, মুহিবুর রহমান, মুজিবুর রহমান টিটু, দিদারুল আলম, শিরিয়া বেগম, মাজহার আহমদ, মাইনুদ্দিন আহমদ, সামছুল আলম, জসিম উদ্দিন, আবু সাইদ আল- সামি, সুমি আক্তার, রাশেদা খানম রিনা, রেশফা আক্তার, তোফায়েল আহমদ, মাজেদা বেগম, কাজি হেলাল উদ্দিন, কামাল হোসেন, ইসহাক আহমদ, হোসেন আলী, শাহ জাহান সিদ্দিকী প্রমুখ। সভায় নাজনীন আক্তারকে আহবায়ক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহবায়ক কমিটির নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল ধান মন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সভায় আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দ কিছুদিনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নে আন্দোলন কর্মসুচী ঘোষনা করবেন।