গত বুধবার বিভিন্ন দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
উক্ত প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের হামলার ভুক্তভোগি ফরিদ আহমেদ । এসময় ট্রাম্প তার সঙ্গে কিছু সময় কথাবার্তা বলেন ও খোজখবর নেন।
ট্রাম্পের সাথে কথা বলতে ফরিদ মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন যাতে হৃদয় কেড়েছে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ননের।
তার কথায় জাসিন্ডা আরডার্ন মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেছেন, তিনি একজন ভালোবাসা এবং দয়ায় ভরা মানুষ। ক্রাইস্টচার্চ ট্র্যাজেডির পর আমাদের সমর্থন করায় আপনাকে ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তা আপনার এবং যুক্তরাষ্ট্রের মঙ্গল করুক।
শনিবার মেলবোর্নে জাসিন্ডার সংবাদ সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ তোলেন সাংবাদিকেরা। কিউই প্রধানমন্ত্রী জানান, ফরিদ আহমেদের কথায় তিনি এতটুকু অবাক হননি। আমি তার মতো কাউকে দেখিনি।
গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে এক বন্দুকধারী হামলা চালায়। সেদিন বাংলাদেশি প্রবাসী ফরিদকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান তার স্ত্রী হোসনে আরা। ফরিদের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার চকগ্রামে।
গত ১৮ জুলাই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যান ফরিদ। তার সঙ্গে বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশের নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা ছিলেন। ওভাল অফিসের ওই সাক্ষাতে ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন ফরিদ।
আরডার্ন বলেন ‘বিদেশে বসে তিনি যা করেছেন, তা আমাকে অবাক করেনি। মানবতা আর ভালোবাসার জয়গান ছড়াচ্ছেন তিনি।
ফরিদ আহমেদ তার ক্ষমার দৃষ্টান্ত দিয়ে আগেই বিশ্ববাসীর শ্রদ্ধা পেয়েছেন। হামলার তিনদিন বাদে তিনি বলেন, ঘাতক ট্যারেন্টকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি!