ডাক প্রতিবেদন : প্রচন্ড তাপদাহে কোথায় স্বস্থি নেই। গ্রামসহ সবত্র গরমে অস্থির। এর মধ্যে বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে জনজীবন অতিষ্ট। বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরলেও বাতাসে ঠান্ডা নেই। বাসা বাড়িতে গরম আর গরম। পুরো জুলাই মাস ছিল, আগ্নেগিরির অগ্নুপাতের মত। দেশের গাছ-পালা, বন-জঙ্গল উজাড় হওয়ায় বাতাসে অক্সিজেন সংকট। পাকা রাস্তা, দালান কিংবা টিনে ঘরে উত্তপ্ত সূর্যের আলো বিকিরণ হলে সেই গরম শোষনের বৃক্ষ লতা নেই। তাই গরম বেড়েই চলঠে। বায়ূর উষ্ণতার কারনে কৃষক সমাজ ভোর খেকে সন্ধা পর্যন্ত ক্ষেতে খামারে কাজ করতে পারছেন না। প্রচন্ড গরমের কারনে কৃষি ক্ষেতে ক্ষতির আশঙ্কা রায়েছে। প্রতিটি বাসা বাড়ি ঘরে সর্দি-কাশি, জ¦র, মাথা ব্যথা, চর্মরোগ, শ^াসকষ্ট, হিটস্টোকসহ অনেক রোগের মানুষ আক্রান্ত। হাসপাতাল ক্লিনিকে রোগীদের প্রচন্ড ভীড়। শিশু ও বয়স্করা মারাত্বক ঝুকির মধ্যে রয়েছেন।
নাসার বিজ্ঞানীরা বলেছেন, এ হাজার বছর পর গত জুলাই মাস ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। ২০১৬ ও ১৯ সালে জলবায়ু উষ্ণ হলেও জুলাই মাসের মত প্রচন্ড গরম ছিলনা। জুলাই শেষে আগষ্ট আসলেও গরমের তীব্রতা একটুও কমেনি। প্রচন্ড এই গরমে উচ্চ রক্তচাপ ও হার্টের রোগী ও শিশুদের শতর্কভাবে নজর দিয়ে রাখতে হবে। কম ঠান্ডা পানি দিয়ে সরবত খাবানো উচিৎ। উচ্চসুরে কথা না বলা এবং প্রয়োজন ছাড়া এ রোদে ঘরের বাইরে না থাকা উত্তম।