নিজস্ব প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের ছাতকে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান গয়াছ আহমদসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে অর্থ আত্মসাত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বাজার উন্নয়নের কথা বলে পরিচালনা কমিটির কাছ থেকে নগদ দশ লাখ টাকা এনে কাজ না করে সমুদয় টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। দায়েরি মামলায় প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের তদন্তকারী কর্মকর্তা।
জানা যায়, উপজেলার ছৈলা-আফজলাবাদ ইউনিয়নের সোনালী বাংলাবাজার উন্নয়নের জন্য পরিচালনা কমিটি কাছ থেকে সম্প্রতি নগদ ১০ লাখ নেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক গয়াছ আহমদসহ তার সহযোগিরা। চেয়ারম্যান গয়াছ লাকেশ্বর পূর্ব পাড়া গ্রামের মৃত আজমত আলীর ছেলে।
কথা ছিল বাজারের ৪টি পাকা রাস্তা, পাকা ড্রেন, ফিস শেড, মসজিদের পাশে একটি ওয়াশ ব্লক ও ডিপ টিউবওয়েল, নদীর পাশে একটি যাত্রী ছাউনী এবং বাজারের গলিতে ১০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করে দিবেন। কিন্তু কিছুই করে দেন নি তারা। টাকা ফেরত না দিয়ে আত্মসাত করেছেন। এমন অভিযোগ এনে গেল ৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন বিশ্বনাথ উপজেলার পাশ্ববর্তী সাতপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী আবদুল রুপ।
অভিযোগটি গেল ১৪ অক্টোবর তদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন আদালত।
ডিবি পুলিশের উপ পরিদর্শক অলক দাশ দীর্ঘ তদন্তের পর গেল ৩ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ চার জনের সংশ্লিষ্টতা পান তদন্তকারী পুলিশের এ কর্মকর্তা।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন ব্রাক্ষণঝুলিয়া গ্রামের তেরাব আলীর ছেলে ইউপি সদস্য আবদুল ওয়াহিদ, মৃত মনুফর আলী ওরফে মতিউর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগ নেতা মর্তুজ আলী ও একই গ্রামের মৃত মকদ্দুছ আলীর ছেলে যুবলীগ নেতা গয়াস মিয়া।