স্টাফ রির্পোটার: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা চাউলধনী হাওরে পৃথক ডাবল মার্ডারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামীর রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১৯ মে বুধবার সিলেটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩নং আমলী আদালত ভার্চুয়াল শুনানী শেষে ডাবল মার্ডারের আসামী আব্দুল জলিল, পারভেজ ও আনোয়ার হোসেনকে ২দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রশাদ চক্রবর্তি ৫দিন করে আসামীদের রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন। আগামী ২/১দিনের মধ্যে তাদেরকে থানায় নিয়ে ডাবল মার্ডারের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। গত ২৮ জানুয়ারী চৈতননগর গ্রামের কৃষক ছরকুম আলী দয়ালের নিজের ভূমিতে জোরপূর্বক পানি সেচ দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা করলে তার আত্মীয় স্বজনরা বাধা দিলে সাইফুল ও তার বাহিনী পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনার পর গত ১ মে সাইফুল ও তার বাহিনী পূনরায় চৈতননগর গ্রামের মানিক ও নজির মিয়ার ভূমিতে জোরপূর্বক মাটি কাটতে চাইলে তারা বাধা দেয়। এতে সাইফুলের বন্ধুকের গুলিতে মানিক মিয়ার পুত্র দশম শ্রেণীর ছাত্র সুমেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় এবং অপর চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
এদিকে এসআই শহিদুলের নেতৃত্বে ১৯ মে বুধবার সিলেট এর পিবিআই’র একটি তদন্ত টিম সরেজমিনে ঘটনারস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা ঘুরে ঘুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ ও এলাকাবাসীকে ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বুধবার বিকাল তিনটায় সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ ফরিদ উদ্দিন সুমেল হত্যাকান্ডের মামলার বাদী সিজিল, সুমেলের চাচা নজির উদ্দিন, ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য আবুল কালামের সাথে তার কার্যালয়ে মামলার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
নজির মিয়া জানান, আমরা আশা করছি খুব শীগ্রই খুনি সাইফুল ও তার বাহিনী ধরা পড়বে এবং অবৈধ অস্ত্রও উদ্ধার হবে।
তারা খুনিদের আশ্রয় প্রশ্রয়দাতাদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ সুপারের প্রতি অনুরোধ জানান।