বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য একাধিকবার সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,সাধারন সম্পাদক আনম শফিকুল হকের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১৪ আগষ্ট শনিবার। ২০১৯ সালের এই দিনে সিলেটের আওয়ামীলীগ রাজনীতির আদর্শের বটবৃক্ষ আনম শফিকুল হক মৃত্যুবরণ করেন। বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মৌলভীগাও গ্রামে তাঁর বাড়ী। ৮ ভাই -বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়। তাঁর পিতা মৌলভী তবারক মুন্সি ছিলেন এলাকার একজন আদর্শ মানুষ। আদর্শ পিতার আর্দশ পুত্র স্কুল শিক্ষক আনম শফিকুল হক সিলেট শহরে এসে তিলে তিলে হয়ে ওঠেন আওয়ামীলীগ রাজনীতির একজন শিক্ষক। রাজনীতিতে তাঁর শূন্যতা এখন সবাই অনুভব করছেন। তিনি অসাধারণ এক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন।
প্রায় ৫ দশক রাজনীতির জীবনে সিলেটের প্রতিটি ইউনিয়ন ওয়ার্ডে কখনো পায়ে হেঁটে, কখনো ভাড়া গাড়িতে করে ঘুরে ঘুরে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছেন । তিনি ছিলেন কর্মীদের শেষ আশ্রয় স্থল। যারা তাকে পছন্দ করতেন না, তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে তিনি আপন করে নিতেন। তাঁর চরিত্রে কোনো প্রতিহিংসা ছিলো না। এজন্য তিনি সিলেটের শ্রেষ্ঠ সংগঠকের খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। রাজনীতিতে প্রখর বুদ্ধিমত্তা ছিলো তাঁর। আন্দোলন, সংগ্রামে থাকতেন অগ্রভাবে। ভদ্র, নম্র প্রকৃতির আনম শফিকুল হকের প্রশাসনে খুব বেশী প্রভাব ছিলো। তিনি ছিলেন একজন অসীম ধৈর্যশীল মানুষ। জীবন -মরণের পরোয়া করতেন না। তাঁর হাত ধরে সিলেটে শত শত নেতা-কর্মীর সৃষ্টি হয়েছে। বিপদে তিনি সবসময় শান্তশিষ্ট থাকতেন। বিপদগ্রস্ত কর্মীদের পাশে থাকা ছিলো আনম শফিকুল হকের চরিত্রের বড় একটি বৈশিষ্ট্য। তিনি কোনোদিন উশৃঙ্খলতাকে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিতেন না। সারাজীবন আদর্শের রাজনীতি করে ভাড়া বাসায় কাটিয়েছেন জীবন। মৃত্যর পর সবাই জানতে পারলেন সম্পদ বলতে তার কিছুই নেই। আনম শফিকুল হকের আদর্শের একজন অনুসারী কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন পাশে থেকেই তার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড দেখেছি। আমরা আনম শফিকুল হকের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
তাকে নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন আসছে অন্য যেকোনো সময়ে বিশ্বনাথের ডাক ২৪. কমে।